গণতন্ত্রের চেয়ে উত্তম জীবনব্যবস্থা আর কী আছে? যদি থেকেই থাকে, তবে কী তার স্বরূপ? গণতন্ত্রের সব উপাদান যদি আমরা জীর্ণ করে ফেলি তবে কী হবে আমাদের পরিনতি?
গণতন্ত্র নিয়ে যত উচ্ছ্বাস, এটাই যেন আমাদের যেকোন ক্ষুদ্র-তুচ্ছ আশা-আকাঙ্ক্ষার মহৎ আশ্রয়স্থল, ব্যাক্তিস্বাধীনতা রক্ষার শেষ কবচ এবং আমাদের স্বপ্নময় উচ্চাশায় সঞ্জীবনীসুধা। যদি এমন হয় যে, এসব কিছুই সত্য নয়- আসলে গণতন্ত্র মেতেছে বিনাশের প্রলয় নাচনে, তা হলে?
হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের 'শী' ১৮৮৭ সালে প্রকাশিত হয়।'শী' প্রথমে Graphic ম্যাগাজিনে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়।এটি আয়েশা সিরিজের প্রথম বই।
'আয়েশা' সিরিজের প্রচুর জনপ্রিয়তা রয়েছে।'শী' বইটিরও প্রচুর জনপ্রিয়তা আছে।তবে 'শী' এর কপালে অনেক সমালোচনাও জুটেছে।অনেকে বলেছে বইটি অনেক জায়াগায় একঘেয়ে হয়ে যায়,ঘটনাপ্রবাহ মন্থর হয়ে যায়।আবার অনেকে বলেছে হ্যাগার্ডের লেখনী অত্যন্ত বাজে।আবার অনেকের প্লটটাই বাজে লেগেছে।কেউ কেউ বলেছেন বইটি অত্যন্ত ভিক্টোরিয়ান।
নারী শুধু কন্যা, জায়া, জননী রূপে সংসার আলো করেছেন তা নয়, জীবিকার সংস্থানেরও বহুক্ষেত্রে তারা সমানভাবে এগিয়ে আসছেন। এই পরিস্থিতিতে নারীদের নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতনতার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন নারীজীবনকে বিভিন্ন পর্যায়ে বিভক্ত করে। শৈশব পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৈশোর আসে এবং বয়ঃসন্ধির রূপান্তর ক্রমে কিশোরীকে নিয়ে যায় যুবতীর পর্যায়ে। তখন নারী যেন কুড়ি থেকে পাঁপড়ি মেলে বর্ণ ও গন্ধে সকলকে মুগ্ধ করে ফুলের মতো ফুটে ওঠে। এভাবে প্রেম, বিবাহ, মাতৃত্বের নব-নব আবেষ্ঠনীতে মেয়েদের মনের ক্রমবিকাশ ঘটতে থাকে। পরে আবার প্রৌঢ়ত্বে এসে ঋতুবন্ধের সূচনা করে এবং বার্ধক্য ও জরা ধীরে ধীরে মানবজীবনের সমাপ্তির ইঙ্গিত জানাতে থাকে। নারী জীবনের মাতৃত্ব ও প্রজনন ক্ষমতা নিবৃত্তির পরেও নানা স্ত্রীরোগ এ পরিনত বয়সে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।সুতরাং বিভিন্ন বয়সের শারীরিক বিকাশের অবশ্যম্ভাবী প্রাকৃতির নিয়ম সম্বন্ধে কিছুটা ব্যবহারিক জ্ঞান সব নারীরই থাকা আবশ্যক। এই জ্ঞান তাদের জীবন পথে সাবলীলভাবে এগিয়ে চলার মতো মানসিক শক্তি যোগাবে।