ঘাস ফড়িং-এর শব্দ শোনা যায়-
অরুন্ধতী রায়

গণতন্ত্রের চেয়ে উত্তম জীবনব্যবস্থা আর কী আছে? যদি থেকেই থাকে, তবে কী তার স্বরূপ? গণতন্ত্রের সব উপাদান যদি আমরা জীর্ণ করে ফেলি তবে কী হবে আমাদের পরিনতি? 

গণতন্ত্র নিয়ে যত উচ্ছ্বাস, এটাই যেন আমাদের যেকোন ক্ষুদ্র-তুচ্ছ আশা-আকাঙ্ক্ষার মহৎ আশ্রয়স্থল, ব্যাক্তিস্বাধীনতা রক্ষার শেষ কবচ এবং আমাদের স্বপ্নময় উচ্চাশায় সঞ্জীবনীসুধা। যদি এমন হয় যে, এসব কিছুই সত্য নয়- আসলে গণতন্ত্র মেতেছে বিনাশের প্রলয় নাচনে, তা হলে?

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারত। সেখানে গণতন্ত্র কতখানি কার্জকর। তথ্য ও ঘটনা ব্যাখ্যা ও পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে অরুন্ধতী রায় দেখিয়েছেন ভারতের গণতন্ত্রের সচলত্ব ও অসাড়তার রূপ। অতি কাব্যিব গদ্যে তিনি এমন সব বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেছেন- যা করার সাহস আমরা অনেকেই পাব না।
অরুন্ধতী রায় প্রশ্ন রেখেছেন এই গণতন্ত্রের ভবিষ্যত সম্পর্কে- এ কী কল্যাণ বয়ে আনতে সক্ষম, না টেনে আনবে মানব সভ্যতার সর্বনাশ ও সমাপ্তি! এই শঙ্কাকে হালকাভাবে নেয়া আমাদের উচিতই হবে না!
-- নওম চমস্কী


ভারত এক ‘উদীয়মান বাজার’- এই বিষয়ক বিপুল সব প্রচারণার আড়ালে লুকোনো ঘোর সত্যটিকে নির্দেশ করেছেন অরুন্ধতী রায়, সত্য উন্মোচনের জন্য সরিয়েছেন একের পর এক মিথ্যের আস্তরণ, আর দেখিয়েছেন প্রকৃত অবস্থাটিকে। নির্দেশ করেছেন অতি অব্যর্থভাবে যে, কোন উন্নয়নের জন্য কোন নিরীহ সাধারন জনগণকে কতখানি যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে। নির্দেশ করেছেন সেই যন্ত্রনার ভয়বহতাকে। এই সময়ের এক তীব্র আত্মবিশ্বাসী চিন্তাবিদ তিনি- তিনি অরুন্ধতী রায়।
-- নাওমি ক্লাইন


এই  বইটি ডাউনলোড করার জন্য নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন।

Sisir Suvro

শুধুমাত্র পাঠকদের জন্যই আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। পাঠক তার পছন্দের বই পড়বে তাতেই আমার পরিশ্রমের স্বার্থকতা।পাঠক বই পড়বে, বই নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করবে, তর্ক বিতর্ক হবে, এতেই তো বই পড়ার স্বার্থকতা। বই পড়ার আনন্দ নিজের মধ্যে না রেখে তা ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে।

0 comments: